করোনা আবহের মধ্যেই সমস্ত নিয়ম মেনে পূজিত হলো সরকার বাড়ির মা জগদ্ধাত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি –
মা জগদ্ধাত্রীর কৃপায় করোনা মুক্ত হোক পৃথিবী। নবমীর সন্ধ্যায় নিউজ বেঙ্গল অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধিকে একান্ত আলাপচারিতায় সরকার বাড়ীর জগদ্ধাত্রী পূজা শুরুর পুঙ্ক্ষানিক ঘটনার বিবরণ দেন পরিবারের সদস্য শ্রী সৌমিক সরকার তিনি বলেন

ছোট থেকেই পুজোর সাথে যুক্ত ছিলাম কিন্তু পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া বা পুজো সংক্রান্ত অন্যান্য কাজ কোনো দিনই করতাম না, তা বলে ঠাকুর দেবতা মানতাম না সেটা কখনোই না, ভক্তি শ্রদ্ধা যা ছিল সেটা মনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো. আর বর্তমানে আপৎকালীন সংস্থায় যুক্ত থাকার দরুন সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানেই সেভাবে থাকা হয়না, আর জগদ্ধাত্রী পুজো, না কোনো কালেই মাথায় আসেনি উল্টে দাদা র মাথায় ছিল যদি কোনো দিন কালী পুজো আমরা করতে পারি,কিন্তু ইচ্ছা টা মনের মধ্যে সুপ্তই ছিল. কিন্তু সব কিছু ওলোট পালট হয়ে গেলো ২০১৯ সালের ১লা নভেম্বর রাতে এমন কিছু ঘটনা আমাদের জীবনে কখনো কখনো ঘটে যায় যা কিনা বর্ণনা করা যায়না. আর সেই ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে ওলট পালট করে দেয়

আমাদের জীবনের সব হিসেবনিকেশ, যেটা আমাদের ক্ষেত্রেও হলো. শুরু হলো সরকার বাড়ির ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় জগৎজননী মা জগদ্ধাত্রী. তিনি এলেন আমাদের কাছে চমকে দিয়ে মাত্র দুটো দিন বাকি কি করবো, কিভাবে করবো, কিভাবে সব জোগাড় হবে কিছুই জানিনা…. ২রা নভেম্বর রাতে সব ঠিক হলো আর কাজ শুরু হয়ে গেলো মায়ের কিভাবে প্যান্ডেল ? কিভাবে ঠাকুর এলো তা স্বয়ং মা জানেন….. প্যান্ডেল আর ঠাকুর যথারীতি আমার দাদার তত্ত্বাবধানে একদম সুসজ্জিত হয়ে গেলো মাত্র দুটো দিনের মধ্যে সব কাজ শেষ। মায়ের আরাধনা…..সত্যি এক অভূতপূর্ব অনুভব দুটো দিনের মধ্যে যে কিভাবে সব কিছু হয়ে গেলো তা আমার এই মা জানে। যা কিছু হবার না সেগুলো যেন কিভাবে নিমেষের মধ্যে হয়ে গেলো….মাত্র দুদিনের মধ্যে সব কিছু ঠিক সুন্দর ভাবে হয়ে গেলো …..সবই মায়ের আশীর্বাদে। এবারে ও জগৎজননী মা জগদ্ধাত্রী এসেছে আমাদের কাছে আলো করে তবে এবারের পরিস্থিতি একদম আলাদা

করোনা থাবা বসিয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে তাই এবারের মায়ের আরাধনা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব ও কোরোনা বিধি যথাযথ ভাবে পালন করেই …আমরা যেন এভাবেই তোমাকে আরাধনা করতে পারি মা …..সবার মঙ্গল করো. সুখ শান্তিতে সমৃদ্ধ করো. পৃথিবী থেকে খুব তাড়াতাড়ি করোনা মুক্ত করো হে মা জগদ্ধাত্রী।