কর্মসংস্হান ও স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ‘চক্ষু মিত্র’

সপ্তর্ষি সিংহঃ
রাজ্যে বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে কর্মসংস্হানে নয়া দিশা দেখাচ্ছে চক্ষু মিত্র প্রকল্প। শহরের বেসরকারী চক্ষু চিকিৎসালয় শুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন ও ‘এশিলর’- এর উদ্যোগে আগামী ২০-২০ ভিশন প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে শুরু হয়েছে ‘চক্ষু মিত্র’। প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধার চক্ষু পরীক্ষার ক্ষেত্রে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে চক্ষু মিত্র যুবক-যুবতীরা। সোনাপুর অঞ্চেলর বছর পঁয়ত্রিশের সন্দীপ মন্ডল বলছিলেন, বি-এসসি পাশ করার পর যখন চাকরি খুঁজছি তখন চোখে পড়ে শুশ্রুত হাসপাতালের এই নয়া কোর্সের বিষয়। ততৎক্ষণাৎ এই প্রশিক্ষণ নিই এবং নিজস্ব গ্রামে চক্ষু মিত্র নামে একটি দোকান শুরু করি যেখান থেকে এখন অনেকটাই স্বনির্ভর। এর পাশাপাশি কিছুটা দূরে আমার স্ত্রী একটি দোকান রয়েছে। কিন্তু কী এই চক্ষু মিত্র প্রকল্প? এই বিষয়ে এসিলরের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রদীপ্ত মন্ডল ও শুশ্রুত আই ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ম্যানেজার বাদশাহ ঘোষ চৌধুরি বলেন, ‘মূলত শুশ্রুত হসপিটালের উদ্যোগে নিজস্ব সেন্টারে ভিশন ২০-২০ প্রকল্পের আওতায় ১২ মাসের একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ৩৫ বছর পর্যন্ত যুবক-যুবতীদের। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একদিকে যেমন স্বনির্ভরতায় কর্মসংস্হানে দিশা পাচ্ছে তেমন প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ চক্ষু চিকিৎসার সাহায্য পাচ্ছেন। এই প্রশিক্ষণ শেষে ইচ্ছুক কোন ব্যাক্তি যদি নিজস্ব জায়গায় দোকান করতে পারে তবে শুশ্রুত ও এসিলরের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথম সামগ্রীগুলি প্রদান করা হয়।’
এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৬০টি এমন সেন্টার চালু হয়েছে যার মাধ্যমে শুধু বেকারদের কর্মসংস্হান নয় মানুষের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে চক্ষু মিত্ররা।