সঙ্গীত শিল্পী তমোঘ্ন এর সাক্ষাৎকার

সপ্তর্ষি সিংহঃ
বাবা ছিলেন পেশায় চিকিৎসক আর নেশায় গায়ক। বাবাকে দেখেই গান শেখা শুরু। ছোট থেকে গানের তালিম নিয়ে তিন বছর বয়সে প্রথম স্টেজ শো। বাবার হাত ধরেই গায়ক তমোঘ্ন ঘোষের গানের দুনিয়ায় পা রাখা। বর্তমানে সফল সঙ্গীত শিল্পী তমোঘ্ন সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, যেহেতু ছোট থেকে পড়াশোনায় মেধাবী ছিলাম ফলে বড় হয়ে চিকিৎসক হই চাইতেন পরিবার। কিন্তু গানের তালিমে কখনও বাধা পড়েনি। শৈশবে ক্লাসিক্যাল শেখা এরপর রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের কাছে গান শেখা শুরু করি। বর্তমানে তাঁর কণ্ঠে বাংলা, হিন্দী মিলিয়ে ৩৩টি অ্যালবাম মুক্তি পেয়ছে এবং ২টি মিউজিক ভিডিও কাজ চলছে। টলিউডে কাজের পাশাপাশি বলিউডেও সমান তালে কাজ করে চলেছেন। সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাষী তমোঘ্ন বলছিলেন, সঙ্গীতের জগতে নীচুমানের কাজ হচ্ছে ফলে সঠিক গান তৈরি হচ্ছে না। কিছুটা আক্ষেপের বলেন, কিছু প্রোডিউসার রয়েছে যাঁরা গান নির্বাচন করতে পারেন না কিন্তু গান তৈরি করেন ফলে খুব নিম্নমানের ও একইধরনের গান তৈরি হচ্ছে। কিছু লোক রয়েছে ইণ্ডাস্ট্রিতে যারা গায়ক না হয়েও স্বল্প ঞ্জানে ও নিজের সীমিত ক্ষমতায় কপি-পেস্ট গান তৈরি করছে। বিভিন্ন ধরনের গান তৈরি করার ক্ষমতা নেই ফলে প্রত্যেকটি গান একই ধরনের। অনেক প্রোডিউসাদের জন্য সঙ্গীত পরিচালকরা নিজেদের কাজ উপস্হাপন করার সুযোগ পাচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। রিয়েলিটি শো প্রসঙ্গে তাঁর উত্তর এই বিনোদনমূলক প্রতিযোগিতায় কোনও গায়ক তৈরি হয়না। একজন প্রতিভাবান গায়ককে দিয়ে চাষ করানো ফলে তাঁর নিজের সৃষ্টি ক্ষমতা হারিয়ে যায়। তরুন সঙ্গীত শিল্পী বলেন, বলিউডে যদিও ভালো কাজ হয়, টলিউডে সঠিক কাজ হয়না ফলে কিজের সুযোগ কম।
নিজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০২ সালে বিএসসি পাস করার পর প্রফেসনাল গায়ক হওয়ার স্বপ্নে যাত্রা শুরু। ২০০৪ সালে প্রথম অ্যালবাম মুক্তি পায়। নিজের পচ্ছন্দের সঙ্গীত শিল্পী বেছে নিতে বলা হলে তাঁর উত্তর সোনু নিগম এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে পচ্ছন্দের তালিকায় প্রীতম। মুচকি হাসির সুরে তমোঘ্ন বলেন যদি গায়ক না হতাম পাইলট হওয়ার ইচ্ছে ছিল।