উচ্চ রক্তচাপের ফলে একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে, মত চিকিৎসকদের

সপ্তর্ষি সিংহঃ
ইন্ডিয়া হার্ট স্টাডির সমীক্ষায় দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ২২*৫০ শতাংশ মানুষের রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় রক্তচাপ পরীক্ষা করার সময়। চিকিৎসক মহলের দাবি উচ্চরক্তচাপ রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর থেকে কিডনির অসুখ ও ডায়বেটিসের সমস্যা দেখা দেয়। সোমবার শহরে এক পাঁচতারায় এরিস লাইফসায়েন্স এর পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে উপস্হিত হয়েছিলেন চিকিৎসক সৌমিত্র কুমার, এরিস লাইফসায়েন্সের প্রেসিডেন্ট বিরাজ সুবর্ণ, চিকিৎসক ললিত আগরওয়াল।
মূলত, চিকিৎসকদের দাবি চাপা থাকা হাইপারটেনশন বাড়াচ্ছে মৃত্যুহার। ওষুধের দোকানে গিয়ে কখনই রক্তচাপ মাপানো উচিত নয়। কারণ, ঠিক পদ্ধতি মেনে সেখানে রক্তচাপ মাপা হয় না। চা, কফি, ধূমপান করার পর রক্তচাপ মাপালে ফলাফল ঠিকমতো পাওয়া যাবে না বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। খুব ভোরে ৪টে থেকে বেলা ১০টার মধ্যে হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেনস্ট্রোক ঘটায়। কোনও কাজ না করলে, বিকেলের দিকেও অনেক সময় রক্তচাপ বেশি থাকে। এক্ষেত্রে কোন সময়ে কতটা রক্তচাপ কমানোর ওষুধ খেতে হবে, তা ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ।
সৌমিত্র কুমার বলেন, ‘হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করানো, ধূমপান, মদ্যপান বর্জন, শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। ডাক্তারের ক্লিনিকে যাওয়ার পর পাঁচ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে হেলানো চেয়ারে বসে হাতের বাহু সোজা করে রেখে রক্তচাপ নির্ণয় করা উপযুক্ত পদ্ধতি।’
নেফ্রোলজিস্ট ডাঃ ললিতকুমার আগরওয়াল বলেন, ‘হাইপারটেনশনের ফলে হঠাৎ করেই কিডনি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। রক্তচাপ কমলে কিডনির সমস্যাও কমবে।’