বানী’স হার্বালের কর্ণধার বাণী ব্যানার্জীকে সম্মান প্রদান

সাধনা মিস্ত্রী, কলকাতা
বানী’স হার্বালের কর্ণধার বাণী ব্যানার্জীকে সম্প্রতি ‘উমা’ আসছে সম্মানে নির্বাচিত করা হয়। কলা সংস্কৃতি সংস্থার পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান টি হয় ভারতীয় ভাষা পরিষদে। এই ‘উমা’ তিনি একদিনে হননি। তার এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করার পথ কতটা কঠিন ও জটিল ছিল সেটা আগে জানা দরকার। বাণী ব্যানার্জী অর্থাৎ বানী’স হার্বালের কর্ণধার এক কথায় দশভূজা অর্থাৎ উমা খুবই প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং আর্থিক কঠিন পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে তার নিজের পরিচয় এবং তার সাথে অনেক মানুষের অর্থ সংস্থানের পথ করে দিয়েছেন। ওনার সামনে অনেক বড়ো বাধা ছিল তার পরিবার, কিন্তু তিনি হার না মেনে সংসার, ছেলে ও সমাজের প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে গেছেন। বাণী ব্যানার্জী তার কর্ম জগৎ শুরু করেন রান্নাঘরের মশলা ও আনাজ দিয়ে যেখানে সব মেয়েদের শেখানো হয় “রান্নাঘর মেয়েদের আসল জায়গা ” কথাটা ভুল প্রমাণিত করে এই রান্নাঘর থেকেই উনি নিজেই নিজের পরিচয় গড়ে তুলতে প্রথম পদক্ষেপ নেন। বিভিন্ন ফল-সবজি ও মসলার সাহায্যে মানুষের চুলের ও ত্বকের

বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন। এইভাবেই কয়েক বছরের মধ্যেই সাধারণ কৌটো ও বতলের মাধ্যমে নানান মানুষের কাছে পৌঁছে যায় বাণী ব্যানার্জীর হাতে তৈরি প্রোডাক্ট, যার গুন অনেক মানুষের মনে জায়গা করে নেয় কিছু সময়ের মধ্যেই। এরপরই তার প্রোডাক্ট ভারত সরকারের উদ্যোগে GMP সার্টিফিকেট লাভ করে। ঠিক এরপরই ভারত সরকার ওনাকে D.R.D.C-র পুরুলিয়া জেলার ঝালদাতে Medical plantএর trainer হিসেবে নিযুক্ত করেন। এই ভাবেই বানী’স হার্বালের কর্ণধার বাণী ব্যানার্জকে নিজেকে তার প্রোডাক্টের মাধ্যমে সবার তুলে ধরেন এবং পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা ভারতবর্ষে আজ online shopping এর মাধ্যমে নানাবিধ মানুষের উপকার করে চলেছেন, ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবেন এই আশা রাখি।
সুতরাং বাণী ব্যানার্জী আমাদের কাছে ‘দশভূজা উমা’।