কলকাতায় সেভেক্স টেকনোলজিস নিয়ে এলো আগামী প্রজন্মের আধুনিকতম স্মার্ট সল্যুশন জুম

শ্রীজিৎ চট্টরাজ –
মধ্য কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে বুধবার বিকেলে সেভেক্স টেকনোলজিস সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে এক বৈপ্লবিক তথ্য প্রযুক্তির ঘোষণা করল। সংস্থার পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার , ক্লাউড ইভানজেনিস্ট অসীম তাম্বুলি জানালেন, পৃথিবী জুড়ে তথ্য প্রযুক্তি শিল্প প্রতিদিনই উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষ ঘরবন্দী হয়েছিলেন। স্তব্ধ হয়ে যায় জনজীবন।কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতি সেসময় সহায়ক হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ঘরে বসে কাজের পরামর্শ দিতে বাধ্য হন। ফলে কাজের দুনিয়ায় ডিজিটাল প্রযুক্তি এক নতুন পথের সন্ধান দিয়েছে। আমরা তৃতীয় ঢেউ কাটিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার পথে। তবু করোনা’র চতুর্থ ঢেউ এর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।ফলে আরও বেশি করে শারীরিক দূরত্ব মেনে কাজের গতি বৃদ্ধি করতে সহায়ক হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। কেননা দেশের বিকাশের প্রয়োজনে কর্ম সংস্কৃতি চলমান রাখতে হবেই।
অসীম তাম্বুলি বলেন, মুম্বাইয়ে প্রধান কার্যালয় রেখে সারা দেশে সেভেক্স টেকনোলজিস এমন এক ডিজিটাল স্মার্ট সল্যুশন এনেছে যে প্রযুক্তিকে বাস্তবোচিত করতে সহায়ক হয়েছে বিশ্বের প্রথম সারির ডিজিটাল প্রযুক্তির তিন নির্মাণকারী সংস্থা। জুম, পলি ও ফ্রেশওয়ার্কস। সেভেক্স টেকনোলজিস এমন এক সংস্থা , যার সারা ভারতে আছে ৩৯ টি সেলস অফিস, ৪২ টি স্টক লোকেশন । ছ’শো বিক্রয় প্রতিনিধি সহ সারা দেশে সাতশ শহরে রয়েছে ১০হাজার অংশীদার। সংস্থার পরিচালনায় আছেন অভিজ্ঞ পরিচালন ব্যক্তিত্বরা। যেমন প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অনিল জাগাসিয়া, ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়ন্ত গোরাদিয়া, সি টি ওদেবাং পান্ডা এন্টারপ্রাইজ বিজনেস অ্যান্ড এলায়েন্স, ডিরেক্টর মহেন্দ্র ওয়াহিলে, সৌরভ নায়েক, এবংঅতুল গৌড় প্রমুখ।

ডিজিটাল প্রযুক্তির মূলত জুম সফ্ট ওয়ারের পরিবর্ধিত রূপ নিয়ে আসা হয়েছে অফিস পরিচালনার ক্ষেত্রে। একদা কলকাতার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের ছাত্র সংস্থার অন্যতম আধিকারিক অসীম তাম্বুলি সাংবাদিকদের বলেন, হাতের মুঠো ফোনেও জুম সফটওয়্যার ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ও বহুজাতিক সংস্থার দৈনন্দিন কাজে জুমের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ম্যাজিক কর্মযজ্ঞের নিদর্শন তুলে ধরছি। জুমের সল্যুশন দক্ষকর্মী হাতে কলমে শিখিয়ে দিচ্ছেন অত্যাধুনিক জুম সফটওয়্যারের কার্যক্ষমতা ও প্রয়োজনীয়তা। ভার্চুয়াল রিসেপশনিস্ট ও কর্মক্ষেত্র সংরক্ষণ, বিস্তীর্ণ আলোচনা কক্ষ, মাঝারি বা ছোট আলোচনা কক্ষ, ব্যক্তিগত কর্মক্ষেত্র সব প্রয়োজনেই নিশ্চিত এবং সফল প্রয়োগে জুম তার কার্যকরিতা প্রমাণ করে। জুম মিটিং,কথোপকথন ও ওয়েবিনার কাজে জুমের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি মুস্কিল আসানের কাজ করছে।আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া শহরের সান জসে সংস্থার মূল কার্যালয়। পশ্চিমবঙ্গে মেধাবী মানুষের স্বীকৃতি বিশ্ব জুড়েই। ভারতের প্রধান শহর পরিক্রমায় আমরা এসেছি কোলকাতায়।
এই সফটওয়্যার ব্যবহারের সহযোগী সংস্থা পলি।আগে যার নাম ছিল পলিক্যাম। জলের তলায় ছবি তোলার ক্ষেত্রে পলিক্যাম ক্যামেরা একসময় বিপ্লব করেছিল। পলি সংস্থার অডিও ও ভিডিও প্রযুক্তি জুম সফটওয়্যার প্রযুক্তিকে আরও শক্তিশালী করেছে। জুম প্রযুক্তির সম্পূর্ণ ব্যবহারের আর এক সহযোগী ফ্রেশওয়ার্কস। এটিও একটি সফটওয়্যার সংস্থা। ভারতীয় ব্যবসায়িক সংস্থায় বিক্রেতা ক্রেতা সম্পর্কের স্বচ্ছ ও অটুট সম্পর্ক গড়ে তুলতে এই সংস্থার জুড়ি নেই। এঁদের মূল কার্যালয় চেন্নাই হলেও দেশের সর্বত্রই এঁদের নির্মিত পণ্য সহজেই মেলে। সফটওয়্যার এমন ডিজাইনেই বানানো হয়েছে, যাতে সহজেই মানুষ ব্যবহার ও পরিচালনা করতে পারে । আই টি ক্রেতা পরিষেবা বিক্রয়,বিপণন ও মানব সম্পদের সঠিক ব্যবহারে এক নতুন উপলব্ধি প্রদান করছে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে হাতে কলমে এই ত্রয়ী প্রযুক্তির সম্মিলিত রূপ প্রদর্শন করা হয় ।