দেখুন “মাটির নবাব” টিভি নাইন বাংলা’র নিউজ সিরিজে

নিজস্ব প্রতিনিধি –
লক্ষ্ণৌর বাদশা কয়েদ থেকে খালাস হয়ে মুচিখোলায় আসায় শহর বড় গুলজার হয়ে উঠলো।’ লখনউয়ের নবাব ওয়াজিদ আলি শাহকে নিয়ে হুতোম প্যাঁচার নকশায় লাইনটা লিখেছিলেন হুতোম। ইংরেজের পেনশন নিতে রাজি হয়ে কলকাতাতেই জীবনের বাকি ত্রিশ বছর কাটিয়ে দেন ওয়াজিদ আলি। একজন শিল্পীর চোখ দিয়ে প্রিয় লখনউকে সাজিয়েছিলেন তিনি। সেই স্বপ্নের শহর ছেড়ে ওয়াজিদ আলি কলকাতার রাজপথে মুকুটহীন এক নবাব।

ওয়াজিদ আলি শাহ কেন ব্রিটিশদের কথা মেনে নিয়েছিলেন, তা নিয়ে আছে বহু বিতর্ক। শিল্পী মন হয়তো আর কোনও রক্তপাত চায়নি। কিন্তু শিল্পীসত্তা তাঁকে বাধ্য করেছিল এই শহরেই একটা অন্য শহর গড়ে তুলতে। আর যেদিন থেকে তিনি মেটিয়াবুরুজকে নিজের মনের মতো করে সাজিয়ে তুলতে শুরু করলেন, সেদিন থেকেই তাঁর প্রিয় লখনউ থেকে এই শহরে আসা শুরু করেন স্থপতি থেকে বিভিন্ন পেশার মানুষ। যাঁরা নবাবের পছন্দ বুঝে তাঁকে নানা ভাবে সাহায্য করতে লাগলেন এই

গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজকে ‘ছোটা লখনউ’ বানাতে। আর মেটিয়াবুরুজও হয়ে উঠল নবাবের প্রিয় শহরের প্রতিচ্ছবি। গঙ্গার জলে নবাব খুজে পেলেন তাঁর সাধের গোমতী নদীকে। আজকের মেটিয়াবুরুজে নবাবের বানানো সেই শহরের আভাস পাওয়া কঠিন। নবাবের চিহ্ন বলতে সেই ইমামবাড়া আর শাহি মসজিদ। আরও খুঁজলে পাওয়া যায় ছড়ানো-ছিটানো কিছু ভেঙে পড়া বাড়ি, পরিত্যক্ত ইমামবাড়া। তবু মুকুটহীন নবাব বেঁচে থাকেন ইতিহাস আগ্রহীদের মনে। এ নিয়েই TV 9 বাংলার নিউজ সিরিজ ‘মাটির নবাব’। সম্প্রচারিত হবে ১৩ মার্চ, রবিবার, রাত ১০টায়।