বাঙালিকে আকর্ষিত করছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে সেরা ঐতিহ্যময় রাজ্য কর্ণাটকের সেরা আকর্ষণ কুমারী সৈকত ও বন্যপ্রাণ অঞ্চল

শ্রীজিৎ চট্টরাজ –
নাম ছিল মহীশূর। বাঙালির সঙ্গে মহীশূরের সম্পর্ক সেই মধ্য যুগ থেকে। মহীশূর অধুনা কর্ণাটকের সেন বংশের হাতে বাঙালির জীবনে এক নতুন মোড় আসে। মহীশূর নাম পাল্টে কর্ণাটক নামকরণ হয় ১৯৭৩ সালে। কারু ও নাড়ু শব্দের অর্থ উচ্চস্থান। এসব তো ইতিহাস। বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিতে কর্ণাটক দেশের মধ্যে অনেক এগিয়ে। আয়কর সংগ্রহে তৃতীয়। ২০২২ এ কর্নাটকের মেয়ে সিনি ছিনিয়ে এনেছে সেরা ফেমিনা মিস্ ইন্ডিয়ার মুকুট। করোনা প্রবাহের পর ট্যুরিজম শিল্প যখন ভেঙ্গে পড়ার মুখে, কর্ণাটকের ট্যুরিজম এর সরকারি সংস্থা কে এস টি ডি সি নতুন উদ্যম নিয়েছে। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে বাংলার ওপর ভরসা করছে অনেকটাই। আসন্ন দুর্গাপুজোয় ইতিমধ্যেই প্রায় ২৫ শতাংশ কর্ণাটকের বিভিন্ন হোটেল,রিসোর্ট, হোম স্টে বুকিং সেরে ফেলেছে বাঙালি।
বাঙালিকে আকর্ষণ করতে কর্নাটকে দুর্গাপুজোর ব্যবস্থা করছে কর্ণাটক রাজ্য সরকার। পাশাপশি রাস্তাঘাটও আলোয় ভরিয়ে দেওয়া হবে। যেন দ্বিতীয় কলকাতা হয়ে উঠবে। সোমবার দুপুরে মধ্য কোলকাতার এক বনেদি পাঁচতারা হোটেলে কর্ণাটক ট্যুরিজম রোড শো শীর্ষক

অনুষ্ঠানের আয়োজন ও সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ইন্ডিয়া ট্যুরিজমের আঞ্চলিক অধিকর্তা সাগ্নিক চৌধুরী , আই এ টি ও এবং এ ডি টি ও আই এর পশ্চিম বাংলার চেয়ারম্যান দেবজিত দত্ত । এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশিষ্ট জনেদের মধ্যে ছিলেন সঞ্জীব মেহেরা, কৌশিক ব্যানার্জি, মনোজ কুমার এবং কর্ণাটক ট্যুরিজমের কার্যনির্বাহী আধিকারিক জি জগদীশ ও আধিকারিক টি ভেঙ্কটেশ।
টি ভেঙ্কটেশ বলেন, বাঙালি সহ পর্যটকের অনেকেই সমুদ্রতীর পছন্দ করেন, তাই আমরা কর্ণাটকের ৩২০ কিলোমিটার উপকূলের ওপর ৯৩ টি সমুদ্রতট চিহ্নিত করেছি। সেগুলিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পাবলিক,প্রাইভেট অংশীদারিত্বে হোটেল, হোম স্টে, রিসোর্ট গড়ে তুলছি। এছাড়াও ঐতিহাসিক স্থান, সবুজ বনাঞ্চল, হাতি, বাঘের মুক্তাঞ্চল রয়েছে দেখার মত বস্তু। অনুষ্ঠানের শেষে কর্ণাটকের ঐতিহ্যময় পূজা কুনিতা নামে ঈশ্বরকে নিবেদন করা নৃত্যকলা প্রদর্শন করেন স্থানীয় শিল্পী।