মাদরাল রামকৃষ্ণ সেবা সমিতির পরিচালনায় একত্রিশ ফুট জগদ্ধাত্রী পূজার শুভ উদ্বোধন করলেন প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর

প্রশান্ত দাশগুপ্ত – উত্তর চব্বিশ পরগনা
ভাটপাড়া বিধানসভার অধীনে মাদরালে একত্রিশ হাত জগদ্ধাত্রী প্রতিমার শুভ সূচনা করলেন প্রাক্তন সাংসদ ঠাকুরনগর মতুয়াধামের মমতা ঠাকুর। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুবোধ অধিকারী, তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম দাশগুপ্ত, ভাটপাড়া বিধানসভার পর্যবেক্ষক সোমনাথ শ্যাম, ভাটপাড়া পৌরসভার পৌর প্রশাসক অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়,

নৈহাটি পৌরসভার পৌর প্রশাসক মন্ডলীর কো-অর্ডিনেটর কানাইলাল আচার্য, ভাটপাড়া পৌর প্রশাসক মন্ডলীর দেবু সরকার ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। মঞ্চে সম্মানিত করা হয় প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুরকে। শুভ সূচনার পর ১০০ জন প্রতিবন্ধীকে সাইকেল ও ট্রাইসাইকেল এবং কানের মেশিন উপহার দেয়া হয়। এছাড়াও ১০০ জনকে কম্বল উপহার দেওয়া হয় মমতা বালা ঠাকুরের হাত দিয়ে। ভাটপাড়ার সোমনাথ শ্যামও সকলের হাতে সামগ্রী তুলে দেয়। প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর বলেন, আমি প্রতিবারই এই জগধাত্রী পূজা উপলক্ষে এখানে এসে থাকি রামকৃষ্ণ পাঁজার ডাকে।এখানে আমার মতুয়া

সম্প্রদায়ের সমস্ত মা বোন ভাই সন্তান-সন্ততি সকলেই উপস্থিত হয়েছেন, তাদেরকেও আমি সম্মান জানাচ্ছি। এই জায়গায় মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষ এখানে বসবাস করে থাকেন তাদের জন্য আমি এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি এবং আন্দোলন জারি থাকবে যতদিন না মতুয়া সম্প্রদায় নিজেদের নাগরিকত্বের অধিকার পাবে। এদিন এই সংস্থার কর্ণধার তথা উদ্যোক্তা রামকৃষ্ণ পাঁজার বিশেষভাবে প্রশংসা করে তাদের প্রতি বছরের সামাজিকতার কথা তুলে ধরেন। এই দিন উপস্থিত সমস্ত মতুয়া সম্প্রদায়ের ভাই-বোনেদের মাথায় ফুলো ও দূর্বা আশীর্বাদ করেন সকলকে এবং ও সবল থাকার জন্য আশীর্বাদ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংস্থার কর্ণধার তথা উদ্যোক্তা রামকৃষ্ণ পাঁজা ও সঞ্চালনা করেন মনীষা দাস।