মেয়ের অন্নপ্রাশন উপলক্ষ্যে পরিবেশ ও সমাজ সচেতনতার উদ্যোগ গ্রহণ করলো পশ্চিম মেদিনীপুরের পান্ডা দম্পতি

রাজকুমার দাস – পশ্চিম মেদিনীপুর
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যেখানে নারীদের সম্মানের কথা সর্বত্র বলা হয় সেখানে এখনো মেয়ে জন্ম নিলে অনেকেই মুখ গোমড়া করে।কিন্তু একটু আলাদা ভাবে মেয়ের মুখে ভাত করার প্রয়াস নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের শান্তনু পান্ডা ও শুভ্রা পান্ডা দম্পতি। মেয়ে সুশানি র অন্নপ্রাশন উপলক্ষে একটি অন্যরকম অনুষ্ঠান করল শান্তনুর দেশের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর এর গাঙ্গুরিয়া গ্রামে ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯-এ. সকালে পরিবেশ দূষণ বিষয়ক একটি আলোচনা সভা হয়

বাড়িতে নারায়ণগড় ব্লকের মাননীয় বিডিও সাহেব চমৎকার বক্তব্য রাখেন. তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে জলসংকটের কথা. স্কুল কলেজ ক্লাব ইত্যাদি সংগঠন এই ধরনের সচেতনতা মূলক প্রোগ্রাম করে. কিন্তু ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক উদ্যোগের এই আয়োজনকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান তিনি. উপস্থিত ছিলেন পাড়া প্রতিবেশী, গ্রামের মানুষ, গ্রামের প্রাইমারি ও জুনিয়র হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা, স্কুলের শিক্ষক মহাশয়েরা. শিক্ষক মহাশয়েরা পরিবেশকেন্দ্রিক কুইজ করেন. ভিডিও সাহেবের হাত দিয়ে চটের ব্যাগ এবং চারাগাছ বিতরণ করা হয়. স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য খেলার সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষকদের হাতে. তারপর পুরো গ্রাম প্রদক্ষিণ করে একটি ৱ্যালি. এই পরিবেশ ও

সমাজ সচেতনতা মূলক ৱ্যালিতে ছাত্রশিক্ষক ছাড়াও অংশ গ্রহণ করেন পঞ্চায়েত সদস্য এবং পরিবারের মেয়েরাও. কন্যা সন্তানও যে সমাজে সমান মর্যাদা ও সম্মান এর অধিকারী— পরিবেশ সচেতনতার পাশাপাশি এই বার্তাও তুলে ধরা হয় এই অভিনব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, এখন মেয়েরাও যে গর্বের তা সবাইকে টনক নড়াতে ভোলেনি উক্ত দম্পতি।

সমাজের কাছে নারী ও পরিবেশ সচেতনতা র বার্তা ও তারা পৌঁছে দিয়েছেন সমগ্র জাতি র কাছে।এই প্রয়াস মহৎ।এই ধরণের উদ্যোগ শুধু সরকারি ভাবে না করে এই ভাবে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে আমাদের আরও এগিয়ে আসাটা একান্তই জরুরী বলে জানান শান্তনু বাবু।তিনি সংস্কৃতি প্রিয় মানুষ তাই তার মস্তিস্ক ফ্রুটিত এই ভাবনা আগামী কে পথ দেখাবে তা বলাই বাহুল্য। আমরা তার মেয়ে সুশানি র আগামী ভবিষ্যতের উন্নতির পথে শুভ কামনা সহ ভালোবাসা জানাই। এই কুঁড়ির মতো পবিত্র তা যেন সকল শুভবুদ্ধি মানুষকে জাগ্রত করতে পারে।