ম্যাঞ্চেস্টারে ব্ল্যাক ক্যাপসদের কাছে স্বপ্নভঙ্গ মেইন ব্লু-র

লণ্ডনঃ মঙ্গলবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। বুধবার নিউজিল্যান্ড যখন থামল তখন ৫০ ওভারে ২৩৯-৮। যা এই বিশ্বকাপের সম্প্রতি পরিসংখ্যান দেখলে একবাক্যে বলা যায় কম রান। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপ্তিল ১ ও হেনরি নিকোলস ২৮ রান করে আউট হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলর। উইলিয়ামসন ৬৭ রানে আউট হয়ে যান মঙ্গলবারই। এর পর জেমস নিশাম ১২ ও কলিন ডে গ্র্যান্ডহোম ১৬ রান করে ফিরে যান। মঙ্গলবার ক্রিজে থেকে শেষ করেন রস টেলর ও টম লাথাম।বুধবার দিনের শুরুতেই ৭৪ রান করে আউট হয়ে যান রস টেলর। ম্যাচ হেনরি ফেরে ১ রানে। শেষ ৩.৫ ওভারে তিন উইকেট পড়ে নিউজিল্যান্ডের। ভারতের হয়ে তিনটি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। একটি করে উইকেট যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ড্যে, রবীন্দ্র জাডেজা ও যুজবেন্দ্র চাহালের। রান আউট হন রস টেলর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে যায় ভারত। ভারতের সেরা তিন রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি ফিরে যান দ্রুত। সবার নামের পাশে লেখা হয় এক করে রান। ৩.১ ওভারে ভারত এসে দাঁড়ায় ৫-৩-এ। দীনেশ কার্তিকও তথৈবচ। এই পরিস্থিতিতে যখন মিডল অর্ডারের হাল ধরার সুযোগ তখন তিনি আউট হয়ে যান ৬ রান করে। ঋষভ পন্থ ও হার্দিক পাণ্ড্যে কিছুটা চেষ্টা করেন। যদিও সেটা যথেষ্ট ছিল না। কারন দু’জনেই আউট হন ৩২ রান করে। এ বার সবার নজর ছিল এমএস ধোনির দিকেই। সঙ্গে তখন রবীন্দ্র জাডেজা। দু’জনে বড় শট নেন কিছু। ৩৩ ওভারে নিশামকে ছক্কাও হাঁকান রবীন্দ্র জাডেজা। আর অষ্টম উইকেটের পার্টনারশিপ ভারতকে শেষ পর্যন্ত ভরসা দেয়।